স্টাফ রিপোর্টার : ‘লিচু রাজ্য’ খ্যাত জেলা দিনাজপুর। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় এ জেলায় মাদ্রাজি, বোম্বাই, চায়না-টু, চায়না-থ্রি, বেদানা, কাঁঠালি, গোলাপীসহ কয়েক জাতের লিচুর ফলন হয়। দিনাজপুরের লিচু যায় ঢাকা, সিলেট চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
দিনাজপুরের বাগানগুলোতে লিচু পরিপক্ব হওয়ার অবস্থায় চলে এসেছে। গেল কয়েক বছরের চেয়ে এবার লিচুর ফলন বেশি। এর মধ্যে দেখা দিয়েছে নতুন এক রোগ। পরিপক্ব হওয়ার আগেই তীব্র দাবদাহে গাছেই ফেটে যাচ্ছে লিচু। নষ্ট হচ্ছে সুমিষ্ট এ ফলের প্রাকৃতিক স্বাদ। দাবদাহ থেকে লিচু রক্ষায় নির্ধারিত সময়ের আগেই গাছ থেকে পেড়ে বাজারে নিচ্ছেন চাষিরা। এতেই দুশ্চিন্তার শেষ নেই চাষিদের। ফলে একদিকে বাজারে যেমন আসছে না ভালো মানের লিচু, অন্যদিকে উপযুক্ত বাজার দরও পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২৮ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা লিচু ফলনের জন্য সবচেয়ে ভালো। আবহাওয়া কর্মকর্তাদের মতে, গত কয়েকদিন ধরে দিনাজপুর, রংপুর ও রাজশাহীসহ বেশ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
রবিবার (১৯ মে) দিনাজপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত চার দিন ধরে দিনাজপুরে দৈনিক তাপমাত্রা ৩৬-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র রোদ ও গরমের কারণে লিচুর খোসা পুড়ে যেতে শুরু করেছে। অপরিপক্ব লিচু গরমের কারণে ফেটে যাচ্ছে। এতে বাজারে আসার মাত্র ১০-১৫ দিন আগে লিচুতে বিপর্যয় ও লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।