ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার উত্তরপত্র সংগ্রহ এবং সরবরাহ করার সময় দু’জন মাদরাসা শিক্ষককে আটক করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। এ সময় ৯টি মোটরসাইকেল ও ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করে পুলিশ।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের কশিগাড়ী জামে মসজিদ থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় সেখানে থাকা আরো বেশ কয়েকজন কৌশলে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, আজ বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্ন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আটক শিক্ষকদের কাছে এসেছিল। সেই প্রশ্নের সমাধান বের করে তারা আবারও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতেন। কিন্তু এর আগেই ধরা পড়েন। ওই দুই শিক্ষককে যে মসজিদ থেকে আটক করা হয়েছে, তার পাশেই রামেশ্বরপুর ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলছিল। আটক শিক্ষকরা ওই কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে উত্তরপত্র সরবরাহ করতেন।
আটক দুই শিক্ষক হলেন ঘোড়াঘাট উপজেলার কৃষ্ণরামপুর ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যক্ষ সুলতান হোসেন (৫২) এবং একই উপজেলার দেওগাঁ ফাজিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম (৪০)।
ঘোড়াঘাট থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, রামেশ্বরপুর ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রের সচিব বাদী হয়ে একটি নিয়মিত মামলা করেছেন। আটক দুই শিক্ষককে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। সোমবার তাদের দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হবে।
ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আটক দুই শিক্ষকসহ পলাতক কয়েকজন পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর মুঠোফোনে কোনোভাবে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছবি পেয়েছিলেন। সেই ছবি দেখে তারা উত্তরপত্র তৈরি করছিলেন। এমন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করা হয়।’