৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Mirror Times BD

নীতি সুদহার বৃদ্ধি

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম ভূমিকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ।সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে প্রয়োজন অনুযায়ী নীতি সুদহার বাড়ানো বা কমানো। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাজারে অর্থের জোগান কমাচ্ছে। আর নীতি সুদহার আরও এক দফা বাড়িয়ে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য ঘোষণা করেছে ‘সতর্ক ও সঙ্কুলানমুখী’ মুদ্রানীতি। আগামী ছয় মাসের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার ৭.৭৫ শতাংশীয় পয়েন্ট থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ধার করতে বাড়তি সুদ গুনতে হবে ব্যাংকগুলোকে। নীতি সুদহার বৃদ্ধির ফলে ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদহার বাড়বে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করছে- এ পদ্ধতিতে বাজারে টাকার সরবরাহ কমবে। আগে শুধু জোগান-চাহিদার ওপর ডলারের দাম ওঠানামা করত। নতুন পদ্ধতির ফলে অর্থনীতির মৌলিক অবস্থা বিবেচনা করে ডলারের দাম ওঠানামা করবে একটা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে। আগামী জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ছয় শতাংশে নেমে না আসা পর্যন্ত সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকবে। এবারের মুদ্রানীতিতে চারটি বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে এই মুদ্রানীতি সামঞ্জস্যপূর্ণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত এই মুদ্রানীতি দেশের আর্থিক খাতকে পুনরুজ্জীবিত এবং প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সহায়তা করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

চাহিদাজনিত মূল্যস্ফীতির চাপ প্রশমন, বিনিময় হারের চাপ নিয়ন্ত্রণ, সরকারের কাক্সিক্ষত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় অর্থের সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাতে ঋণ সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে এবারের মুদ্রানীতিতে। তাছাড়া নতুন মুদ্রানীতিতে বিদেশী মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি ব্যবহারেরও চিন্তা রয়েছে। কেননা, সমসাময়িক বাজারভিত্তিক বিনিময় হার ব্যবস্থা নিশ্চিতকল্পে মুদ্রানীতিতে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি অনুসরণের উদ্যোগ যথেষ্ট কার্যকর হতে পারে। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি দল ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতির বিষয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশে আসবে। এরপরই তাদের কারিগরি সহায়তা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই পদ্ধতি চালু করতে চায়।

ঘোষিত মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।এর মধ্যে রয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে তেলের দামে অস্থিতিশীলতা, বিশ্ববাজারে ভোগ্যপণ্যের দামের ওঠানামা, মূল্যস্ফীতি সহনীয় মাত্রায় না আসা, মুদ্রা বিনিময় হারের অস্থিতিশীলতা ও ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ। তবে ঋণের সুদ বৃদ্ধির নীতিগত সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে, এমনটাই বিশ্লেষণ অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের। তাছাড়া অন্যান্য প্রি-ফাইন্যান্সিং ও রি-ফাইন্যান্সিং স্কিমের মাধ্যমে সিএমএসএমই খাতকে সহায়তার উদ্যোগও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা। দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি এখন যে পর্যায়ে রয়েছে, তাতে শুধু নীতি সুদহার কমিয়ে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করা চাই। পাশাপাশি ডলারের দামও কমানো জরুরি।

⠀শেয়ার করুন

loader-image
Dinājpur, BD
ফেব্রু ৬, ২০২৫
temperature icon 24°C
clear sky
Humidity 26 %
Pressure 1009 mb
Wind 10 mph
Wind Gust Wind Gust: 20 mph
Clouds Clouds: 0%
Visibility Visibility: 10 km
Sunrise Sunrise: 06:46
Sunset Sunset: 17:52

⠀আরও দেখুন

Scroll to Top