গত বছর নানা কারণে খাদ্যপণ্যসহ নিত্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের সাধারণ মানুষকে যথেষ্ট দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ছিল ডলার সংকটও।ব্যবসায়িক প্রয়োজনে চাহিদা অনুযায়ী এলসি খুলতে পারেনি ব্যাংকগুলো। লাগাম টানা হয়েছিল আমদানি বাণিজ্যেও। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটে উৎপাদনের গতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। অর্থনীতির এমন চাপের মধ্যেই এসেছে নতুন বছর। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, নতুন বছরে মূল্যস্ফীতি কমানো, ডলারের সংকট মোকাবিলা ও আর্থিক খাতের ভঙ্গুরতা কাটানোসহ নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে দেশ। আইএমএফের নির্দেশনা ঠিকমতো পরিপালন করাও কঠিন হতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারের মূল্যস্ফীতি কমানো, মুদ্রার বিনিময়হার বাজারমুখী করা, বৈদেশিক মুদ্রার জোগান বা রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় বেশি জোর দেওয়াসহ ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে সংস্কার প্রয়োজন। কোনো অবস্থাতেই ডলারের রিজার্ভ নিচে নামতে দেওয়া উচিত হবে না। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য, ডলারের রেট নিয়ন্ত্রণসহ ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায়ও আবশ্যক।
সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখন কিছুটা নাজুক পর্যায়ে রয়েছে। রিজার্ভ ধরে রাখা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং ব্যবস্থাপনা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য মূল্যস্ফীতি কমানো জরুরি। ২০২৩ সালে বৈশ্বিক দুটি যুদ্ধ অর্থনীতিতে যে ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তেমনটি হয়নি। জ্বালানি তেলের দামও কিছুটা কমছে। অবস্থা যদি আরও খারাপ না হয়, তাহলে মূল্যস্ফীতি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।