মিরর ডেস্ক : মৌসুম শুরু হতে না হতেই পাকা আমে সয়লাব দেশের ফলের বাজার। তবে গতবছরের মতো এবারও রাসায়নিক দিয়ে আম পাকানোর অভিযোগ উঠেছে। যার ক্রেতা সংখ্যাও কোনো অংশে কম নয়।
তবে ক্রেতারা কি নিশ্চিন্তে খেতে পারছেন এসব আম? এ ব্যাপারে এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘আম আগে পেড়ে ফেলায় সেগুলো কোনো স্বাদ থাকে না’।
আম নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তারা বলছেন আম পরিপক্ব হওয়ার সময় জানলে গছিয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকে না। লেখক ও গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী ‘কোন আমটি কখন খাবেন’ নামের একটি বইও বের করেছেন।
বাংলাদেশে আম পরিপক্ব হওয়ার পর বাজারে আসার সময়পঞ্জি (ক্যালেন্ডার) দেওয়া হলো-
- গোবিন্দভোগ- ১৫ মে থেকে ৩০ মে
- গুলাবখাস- ২৭ মে’র পর
- গোপালভোগ- ২৫ মে থেকে ১০ জুন
- রানিপছন্দ- ১ জুন থেকে ১৫ জুন
- হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাত- ৭ জুন থেকে ৩০ জুন
- ল্যাংড়া- ১৫ জুন থেকে ১৫ জুলাই
- লক্ষ্মণভোগ- ১৫ জুন থেকে ১৫ জুলাই
- হাঁড়িভাঙা- ১৫ জুন থেকে ১৫ জুলাই
- আম্রপালি- ২৮ জুন থেকে ২৫ জুলাই
- বোগলাগুটি- ১২ জুন থেকে ৭ জুলাই
- মল্লিকা- ১৯ মে থেকে
- সূর্য্যপুরী- ১ জুলাই থেকে ২০ জুলাই
- ফজলি- ৫ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট
- আশ্বিনা- ৭ জুলাই থেকে ৭ সেপ্টেম্বর
মোদ্দা কথা, যে আমগুলো বাজারে দেখা যাচ্ছে, সেগুলো প্রাকৃতিক শৃঙ্খলা মেনে নির্দিষ্ট সময়ে পুষ্ট না হওয়া।