মিরর ডেস্ক : বর্তমানে চুলের যত্নে জনপ্রিয় এক ট্রিটমেন্ট হলো কেরাটিন। চুলের হারিয়ে যাওয়া কেরাটিন ফিরিয়ে দিতেই এই ট্রিটমেন্ট করা হয় বিভিন্ন পার্লার কিংবা বিউটি স্যালনে।
কেরাটিন আমাদের চুলে উপস্থিত একটি প্রাকৃতিক প্রোটিন। যা সূর্যের আলো, দূষণ ও রাসায়নিক সমৃদ্ধ জিনিস ব্যবহারের কারণে তা কমতে শুরু করে। এ কারণে চুল শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আপনার চুলে কেরাটিন ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন আছে কি না তা বুঝবেন কীভাবে?
কেরাটিন মাস্ক তৈরিতে যা লাগবে-
সাদা চালের নরম ভাত পরিমাণমতো
> নারকেলের দুধ ৬ টেবিল চামচ ও
>> নারকেল তেল ২ টেবিল চামচ।
কেরাটিন মাস্ক কীভাবে ব্যবহার করবেন?
ভাত ও কোকোনাট মিল্ক ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। কোকোনাট মিল্ক অবশ্যই চালের দ্বিগুণ পরিমাণের হতে হবে। মিশ্রণটি মসৃণ ক্রিমের মতো হতে হবে। এরপর এতে প্রয়োজনমতো নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন।
মাস্ক তৈরির পর তা চুলে লাগানোর পালা। অল্প অল্প করে চুল নিয়ে আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ব্যবহার করুন এই মাস্ক। সব চুলে সমানভাবে ক্রিম লাগানো হলে চুল খোলা রাখুন, যদি চুল ছোট হয়। বড় চুল হলে শুধু হেয়ারব্যান্ড দিয়ে পনিটেইল করে রাখুন। বেশি পেঁচিয়ে বাঁধবেন না।
হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। তারপর চুল হালকা ভেজা অবস্থাতে আয়রন করে নিন। এবার দেখুন চুলে ফিরে এসেছে চকচকে ভাব।
তবে কেরাটিন করার আগে অবশ্যই চুল পরিষ্কার করে নিন। ঘষে ঘষে কখনোই চুলে প্যাক ব্যবহার করবেন না। একেকটা গোছা ধরে আলতো করে উপর থেকে নিচে লাগাতে হবে।
স্ক্যাল্পে লাগালেও ক্ষতি নেই, চুলে যাতে প্রোটিন ঢোকে সেটাই আসল। যাদের চুল সামান্য রুক্ষ্ম তারা ঘরোয়া এই উপায়ে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন। ভালো ফলাফল পেতে মাসে সর্বোচ্চ দু’বার করুন এই ট্রিটমেন্ট।