মিরর ডেস্ক : ভোজন প্রিয় বাঙালির পছন্দের তালিকায় আছে নানা পদের আচার। খিচুড়ি, পোলাও, বিরিয়ানির সাথে একটু আচার না হলে জমেই না। তাই তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু রসুনের আচার। রইলো সহজ রেসিপি-
উপকরণ:
- খোসা ছাড়ানো রসুন ২ কাপ
- তেঁতুলের মাড় ১/২ কাপ
- সরিষার তেল পরিমাণমতো
- সরিষা বাটা ১ টেবিল চামচ
- পাঁচফোড়ন গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়ো ১ চিমটি পরিমাণ
- ভিনেগার ১ টেবিল চামচ
- লবণ ১চা চামচ
- চিনি ০.২৫ কাপ
- শুকনো মরিচ গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ
- জিরা গুঁড়ো ১ চা চামচ
- আদা বাটা ১/২ চা চামচ
- মৌড়ি গুঁড়ো ১ চা চামচ
- গোটা শুকনো মরিচ ৫/৬ টা
প্রস্তুত প্রণালি:
প্রথমেই ২৫০ গ্রাম তেঁতুল ১কাপ পানি তেল ভিজিয়ে রাখবো কমপক্ষে ৩০ মিনিট। এই ফাঁকে একটি কড়াইতে পরিমাণ মতো সরিষার তেল গরম করে তাতে পাঁচফোড়ন দিয়ে একটু নেড়ে ৫/৬ টা গোটা শুকনো মরিচ দিয়ে একটু নেড়ে নিবো একটু ফুটতে শুরু করলেই খোসা ছাড়ানো রসুন গুলো দিয়ে একটু নেড়ে সব মিশিয়ে ভেজে নেবো। রসুনগুলো বেশি নরম ও হবেনা,শক্ত ও হবেনা।
এবার এর সঙ্গে আদা বাটা, লাল মরিচের গুঁড়া, হলুদ গুড়া, ধনে গুঁড়া স্বাদ মতো লবণ দিয়ে একটু নেড়ে নিবো। ১ চামচ চামচ ভিনেগার ও সরিষা বাটা দিয়ে আবারো নেড়েচেড়ে নিবো। এবং ভিজিয়ে রাখা তেঁতুলের মাড় টা দিয়ে দিবো, ভিজিয়ে রাখা তেঁতুলের বিচি গুলো ফেলে দিয়ে বাকি সবটুকু দিয়ে দিবো, এবং পরিমাণ অনুযায়ী চিনি মিশিয়ে নিবো। অনবরত নেড়েচেড়ে নিবো। একটু ঘন হয়ে এলেই নামিয়ে নিবো।
যখন আচার রুম টেম্পারেচারে চলে আসবে তখন এটি একটি এয়ার টাইট বয়ামে ভরে রাখবো এবং ২/৩ দিন পরপর রোদে একটু রাখতে হবে। এই আচারের পর্যাপ্ত সরিষার তেল দিয়ে আচার প্রিযার্ভ করতে হবে। এতে করে আচারের ফাঙ্গাস পরবেনা। আর এই আচার নরমাল রুম টেম্পারেচারে সংরক্ষণ করে রেখে খাওয়াই ভালো। কারণ ফ্রিজে রাখলে এই আচারের স্বাদ ও গুন নষ্ট হয়। এই আচার ৩/৪ মাস পর্যন্ত সঠিক নিয়মে সংরক্ষণ করে রাখলে খাওয়া যাবে।