ঢাকা : সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নিজেদের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা নেই। যাদের নিজের ঘরেই গণতন্ত্র নেই তারা দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে কোন মুখে? ৭৫ এর নৃশংসতম ঘটনা ঘটিয়েছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় হন্তারক তারা। গণতন্ত্রের হত্যাকারীরা গণতন্ত্রের নামে মায়া কান্না করে। শুনেও হাসি পায় -বিএনপি এখন গণতন্ত্রের কথা বলে।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুলের টার্ম শেষই হচ্ছে না। তারা গণতন্ত্রের কথা বলে কোন মুখে? তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয় না। মির্জা ফখরুল কথায় কথায় এই বলে কাঁদেন– তাদের ৮০ ভাগ নেতাকর্মী জেলে। কোথায়? সবাই তো কারামুক্ত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা হয়তো ভাবে, একজন বংশীবাদক বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। তারা তখন তাদের ঘোষককে সামনে নিয়ে আসে। কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার অধিকার জনগণ বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিল। এটা আর কারও ছিল না। তারা মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করে, গণহত্যা দিবস পালন করে না। তারা হলো দুর্ঘটনাবশত মুক্তিযোদ্ধা, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ভোটে ব্যর্থ, রমজানের রাজনীতিতে ব্যর্থ। ভারতীয় পণ্য বয়কটের আন্দোলনেও ব্যর্থ। তাদের আন্দোলন ভাওতাবাজি। তারেক রহমান যতোদিন বিএনপির নেতৃত্বে থাকবে, ততোদিন আমাদের ঠেকাতে হবে না। ক্ষমতায় আসতে পারবে না তারা। কতবার যে সরকার পতনের তারিখ দিলো। এখন দেখা যাচ্ছে, পতন হলো বিএনপিরই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির সংকট পুরোপুরি কেটে গেছে, তা বলা যাবে না। দেশে দেশে যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষের সংকট আছে। কোথাও সংকট হলে তা অন্য দেশে এসে পড়ে। ডলার সংকট আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সাথে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের ক্রাইসিসম্যান। তিনি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। পণ্যের মূল্য কমেছে। আস্তে আস্তে আরও সহনীয় হবে বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।