মিরর ডেস্ক : কাউন্সিল ছাড়া গভীর রাতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটি বাতিল করা এবং কাউকে নতুনভাবে পদায়ন করার মাধ্যমে বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের প্রতি উদাসীনতা ও অনীহা প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (১৬ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি রাজনৈতিক কার্যালয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যে ব্যর্থ দল তার প্রমাণ বিভিন্ন কমিটি তারা স্থগিত করছে। এতে ব্যর্থতার প্রমাণ হয়। এতে এটাই বোঝা যায়, একটি দল অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা কখনো করেনি। এখনও করছে না। মাঠে যারা ছিলো রিমোট কন্ট্রোলে তাদের ব্যর্থতার পরিমাপ করা হচ্ছে। পদায়ন করা হচ্ছে। আমাদের পার্টিতে এটা সম্ভব না।
‘আমাদের পার্টিতে তেতাল্লিশ বছরের সভাপতি শেখ হাসিনা তিনি ইমার্জেন্সি হলে শূন্য পদ পূরণ করতে পারেন, সেই দায়িত্ব তার আছে। কিন্তু কাউকে পদায়ন করার দৃষ্টান্ত আমাদের দলে নেই। কাউন্সিল ছাড়া দলীয় কাঠামোতে পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এই অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা আওয়ামী লীগ করে আসছে। এবং আমাদের নেত্রী কখনো গঠনতন্ত্রের যে নিয়মকানুন, তা লঙ্ঘন করেন না।’
দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার বিষয়ে বিএনপির অনীহা আছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থাকেন লন্ডনে, সেখানে থেকে রিমোট কন্ট্রোলে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এখানে ব্যর্থতা বলতে গেলে বলতে হয়, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ব্যর্থ। তার সৎ সাহস নেই রাজপথে এসে আন্দোলন করার। তখন বোঝা যেতো কারা সফল, কারা ব্যর্থ।
‘আর এভাবে কাউকে বাদ দিয়ে, কাউকে পদায়ন করার মানে, অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রে চর্চার ব্যাপারটিতে বিএনপি কতটা উদাসীন এবং অনীহা। সেটা প্রমাণ হয়ে গেছে।’
তিনি বলে, ‘বিএনপি ব্যর্থ বলেই নেতাদের সরিয়ে দিচ্ছে। ব্যর্থতার মূল দায় যার তিনি রিমোট কন্ট্রোলে কাউকে সরিয়ে দিচ্ছেন, কাউকে পদায়ন করছেন। কাজেই ব্যর্থতা তারা স্বীকার করেছে এটাই আসল কথা।’
মতবিনিময়কালে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।