এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন : দ্য বিগেস্ট এডভেঞ্চার ইউ ক্যান টেক ইজ টু লিভ দ্য লাইফ অফ ইয়োর ড্রিমস- প্রচলিত এমন মতবাদের আলোকেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি নারী শেখ হাসিনা এগোচ্ছেন। তবে তাঁর এই এগিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়। বাংলার মানুষের উন্নত একটা জীবন হবে, এমন স্বপ্নে বিভোর থেকে তাঁর লড়াই চলছে। জনমানুষের ভাগ্যান্নোয়নে নিবেদিত থেকে এগোচ্ছে তাঁর জীবনের গল্প।
নতুন সরকার গঠনের পর হতেও বোঝা যাচ্ছে যে, একজন শেখ হাসিনা থামবেন না। লড়ে যাবেন। পররাষ্ট্রনীতির গোপন অসাধারণ উদাহরণ দেখিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক কক্ষপথেই। এদিকে তাঁর কাছে পরাভূত হয়ে ছোট খাটো রাজনীতিকেরা গ্রীষ্ম ছোঁয়া এই দাবদাহের মধ্যে গরম পোশাক খুলে বলছেন, বয়কট করলাম ইন্ডিয়াকে! যা শুধু হাস্যকরই নয়, নিজেদের রাজনীতির অধ্যায়ের ইতি টানার মতই ঘটনা। কতটা দেওলিয়া না হলে এমন কাজ করতে পারেন তাঁরা!
শেখ হাসিনার সরকার স্পর্শকাতর সূক্ষ্ম বিষয়গুলোও নিষ্পত্তি যেভাবে করতে সিদ্ধহস্ত, তা ওই বিপক্ষ রাজনৈতিক শক্তির নামে অপশক্তির টেবিলেও যে আলোচনা হয় না, তা নয়। হয়।
থামতে জানেন না শেখ হাসিনা। কনফুসিয়াসের একটা মতবাদ ছিল। তিনি বলেছিলেন, “ইট ডাস নট মেটার হাও স্লোলি ইউ গো এজ লং এজ ইউ ডু নট স্টপ।” বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় অনেকের মন খারাপ হতে পারে। তাঁদেরকে জনশ্রেণি স্বাধীনতাবিরুদ্ধশক্তি হিসাবেই দ্যাখে। অন্যদিকে অদম্য এক সত্তা হয়েই শেখ হাসিনা তাঁর সেরাটা দিচ্ছেন। ধীরে নয়, দ্রুততার সাথেই অর্থনৈতিক উন্নতিকল্পে তার বৈপ্লবিক উদ্যোগগুলো চোখে পড়ছে। কাজেই থামতে যেহেতু শেখ হাসিনা শেখেন নি, সাফল্য ঘরে তুলেছেন, তুলবেন। তবে আওয়ামী লীগের সব্বাই সেরাটা দিতে পারছেন না। বিচ্ছিন্নভাবে উল্লেখ করলে অনেকেরই রাতারাতি ধনী হওয়ার নগ্ন চেষ্টাও আছে। আবার হাইব্রিড নেতাদের সংখ্যাও বাড়ছে। যদিও খোদ শেখ হাসিনা বলছেন, নতুন করে কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর কিছু নেই।
বাংলাদেশ আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসাবে এগিয়ে যাবে, এমন স্বপ্ন দেখার অভিপ্রায়ে একটা সম্মানের জায়গায় পৌঁছিয়েছে। এরপরেও বৈশ্বিক পর্যায়ে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে বাংলাদেশকেও লড়াই করতে হচ্ছে। নতুন অর্থমন্ত্রী আশা দেখাচ্ছেন। নেতৃত্বে প্রাণপ্রিয় শেখ হাসিনা। আর কী লাগে ! ভারত আমাদের পুরোনো বন্ধু। পরীক্ষিত তো বটেই। সংকটে, প্রকাশ্যে ও গোপনে বাংলাদেশের পাশে ভারত থাকতে অভ্যস্ত। সোমালিয়ান জলদস্যু মোকাবিলায় কোন দেশটি আমাদের পাশে? ওই ভারতই।
জেগে ঘুমালে তো হবে না। দেশের কথিত জাতীয়তবাদী শক্তি ভারতকে বন্ধু হিসাবে দেখতে চেয়েও পারেনি। তাঁদের মূল চরিত্র বের হয়ে আসে। অতীতে তাঁরা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গ দিয়ে ভারত ভাঙ্গার কাজে মন দিয়েছিল। এরপর কত চেষ্টা করে ভারতকে মিত্র করার কথিত উদ্যোগ! লাভ হয়নি। তাই আজ চাদর ছুঁড়ে বলছেন, বয়কট! আসলে তা আঙুর ফল টকের মত কিনা, সবাই একবার ভেবে দেখতে পারেন।
লেখক: সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
(প্রকাশিত লেখাটির মতামত লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে কোন আইনগত ও অন্য কোন ধরনের দায়-ভার মিরর টাইমস্ বিডি বহন করবে না)।