মিরর বিনোদন : বহুল আলোচিত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। দীর্ঘ ২৫ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্ত্তীর আদালত এই মামলার রায় দিয়েছেন। এতে ব্যবসায়ী ও প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিন জনকে ২ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ১ মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাদের। মামলার বাকি ৬ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার পর সোহেল চৌধুরীর মেয়ে লামিয়া চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা তো ফেরত আসবে না। উনারা (অপরাধীরা) যেটা করেছেন, সেটার জবাব উনাদেরই দিতে হবে। উনাদের যাবজ্জীবন হোক কিংবা যেটাই হোক- বাবার মৃত্যু আমার জীবনে যে প্রভাব ফেলেছে, সেটা কোনোভাবেই পরিবর্তন হবে না। রিয়েলিটি নিয়েই আমাকে থাকতে হবে। এখন তাদের বিচারে আমাদের কোনো কিছুই পরিবর্তন হয়নি, হবেও না।’
এদিকে, লামিয়া চৌধুরী এখন ব্যস্ত আছেন সিনেমা নির্মাণে। তার প্রথম সিনেমা নাম ‘মেয়েদের গল্প’। যেখানে নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে থাকছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। আগামী অক্টোবরে এর শুটিং শুরু হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ট্রাম্প ক্লাবের সামনে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আদালতের রায় থেকে জানা গেছে, অতীতের এক ঘটনার জের ধরে তাকে ভাড়াকে খুনি দিয়ে হত্যা করায় আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ট্রাম্প ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ও আদনান সিদ্দিকী। সাজাপ্রাপ্ত এসব আসামী রয়েছে পলাতক।
আর মামলাটি থেকে খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন, এজাহারনামীয় তারিক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।
বলা প্রয়োজন, নায়ক সোহেল চৌধুরী ও নন্দিত অভিনেত্রী দিতির দুই সন্তানের মধ্যে কন্যা লামিয়া বড়। কানাডা থেকে পড়াশোনা করে দেশে ফিরে সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন তিনি। আর পুত্র শাফায়েত চৌধুরী কানাডায় শিক্ষাপর্ব শেষে এখন থাকেন ইউরোপে।