মিরর ডেস্ক : ২০২৩ সালে সারা দেশে মোট ৫১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে বলে এক সমীক্ষায় জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি বলছে, এসব শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল ‘অভিমান’; যা সংখ্যায় ১৬৫ জন বা ৩২ দশমিক ২ শতাংশ।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে ‘২০২৩ সালে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা: পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়’ শীর্ষক সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে ফাউন্ডেশনটি।
সমীক্ষার প্রতিবেদন বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে আত্মহত্যা করেছে ১৪৯ জন শিক্ষার্থী। এরপরই অবস্থান করছে চট্টগ্রাম বিভাগ, এই বিভাগে আত্মহত্যা করেছেন ৮৯ জন। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগে ৭৭ জন, খুলনায় ৬৪ জন, বরিশাল ও রংপুর উভয় বিভাগেই ৪৩ জন করে, ময়মনসিংহে ৩৬ জন এবং সিলেটে ১২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।
সমীক্ষার তথ্য বলছে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি আত্মহত্যা করেছেন। ৫১৩ জন শিক্ষার্থীর ৬০ দশমিক ২ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী গত এক বছরে আত্মহত্যা করেছেন। শুধু নারী শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার কারণ বিবেচনায় দেখা যায়, ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী অভিমানে, প্রেমঘটিত কারণে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ, মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ, পারিবারিক বিবাদের কারণে ৭ দশমিক ১ শতাংশ, যৌন হয়রানির কারণে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং পড়াশোনার চাপজনিত কারণে ৪ দশমিক ২ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে এবং পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় একই সংখ্যক সংখ্যক শিক্ষার্থী আত্মহননের পথ বেছে নেন।
এছাড়া পারিবারিক নির্যাতনে ১ দশমিক ৬ শতাংশ, অপমানে ০ দশমিক ৬ শতাংশ এবং পাবলিক পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাওয়ার কারণে ২ দশমিক ৯ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
অনলাইন এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ (প্রশাসন অনুবিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দীন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এম নাজমুস সাকিব এবং আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ প্রমুখ।