ঢাকা : বাঙালি জাতির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম ও অর্জনে বরাবরই বিশেষ ভূমিকা রেখে এসেছেন এদেশের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা। নাটক, সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, চিত্রকর্মসহ শিল্পের সব শাখার মাধ্যমে তাদের অবদান অপরিসীম।
হাজার বছরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের লালন, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আজও কাজ করে যাচ্ছেন শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে তারা নিঃস্বার্থভাবে অবদান রেখে চলেছেন।
দেশের শিল্প-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ অবদানের জন্য গুণীজনদের অবদানকে সম্মান ও স্বীকৃতি জানাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ২০১৩ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে ‘শিল্পকলা পদক’।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ‘শিল্পকলা পদক ২০২১ ও ২০২২’ দেয়া হচ্ছে ২০ গুণী ও সংগঠনকে। শিল্পকলা একাডেমি সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত গুণীজনের তালিকা ও আবেদন চূড়ান্তভাবে মনোনয়নের লক্ষ্যে ‘শিল্পকলা পদক’ নীতিমালা অনুযায়ী আবেদনসমূহ পর্যালোচনা জন্য গঠিত মূল্যায়ন কমিটির মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে (১২টি ক্ষেত্র হতে ১০টি ক্ষেত্র) ২০ জন গুণীশিল্পী ও প্রতিষ্ঠানকে ২০২১ সালে এবং ২০২২ সালের জন্য ‘শিল্পকলা পদক’ প্রদানের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী ১৬ সদস্যের কমিটি প্রতি বছর পদকের জন্য গুণীজন নির্বাচন করে থাকেন। ‘শিল্পকলা পদক’-এর জন্য মনোনীত ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানকে ১ (এক) টি করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি-এর নাম এবং মনোগ্রাম সম্বলিত স্বর্ণ পদক, সনদপত্র এবং ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকার চেক প্রদান করা হয়ে থাকে।
পদক প্রসঙ্গে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেছেন, বিনম্র শ্রদ্ধা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে, যিনি শিল্পের মহান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার স্বপ্নযাত্রায় শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা, প্রসার ও বিকাশকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন; অনুপ্রাণিত করে চলেছেন দেশের শিল্পী, সাহিত্যিক এবং সংস্কৃতিসেবীদের। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বাংলাদেশকে বিশ্বের একটি অন্যতম আলোকিত ও সৃজনশীল দেশে পরিণত করতে অনন্য ভূমিকা পালন করবে। আমি পদকপ্রাপ্ত গুণী শিল্পীদের শ্রদ্ধা জানাই। সকলের প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আরো জানানো হয়, রাষ্ট্রপতির সদয় অনুমতি ও তারিখ নির্ধারণ সাপেক্ষে ‘শিল্পকলা পদক’ প্রদান অনুষ্ঠান শিগগির আয়োজন করা হবে।