রাজবাড়ী : রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন রাজবাড়ীর তিন জন। তারা হলেন এলিনা ইয়াসমিন (৪০), চন্দ্রিমা চৌধুরী ওরফে সৌমি (২৮) ও আবু তালহা।
এলিয়া ইয়াসমিন রাজবাড়ী সদর উপজেলার সাজ্জাদ হোসেনে স্ত্রী ও চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি একই উপজেলার বেলগাছি আলিমুজ্জামান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মৃত চিত্ত রঞ্জনের মেয়ে ও আবু তালহা কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের গাংবথন্দিয়া গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। তিনি সৈয়দপুরের বাংলাদেশ আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আবু তালহা পরিবার নিয়ে ফরিদপুর শহরে থাকতেন। তাদের সবার বাড়িতেই এখন শোকের মাতম চলছে।
চন্দ্রিমার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনে আগুন লাগার আধঘণ্টা আগেও চন্দ্রিমার সঙ্গে কথা হয় তার পরিবারের। ট্রেনে আগুন লাগার পর থেকে চন্দ্রিমার খোঁজ পাচ্ছে না পরিবার। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
আবু তালহার বাবা আব্দুল হক বলেন, ‘আমাদের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর কালুখালীতে হলেও আমরা এখন ফরিদপুরে থাকি। তালহা গতকাল সন্ধ্যায় ফরিদপুর স্টেশন থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকার উদ্দেশে যায়। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তার আর কোনও খোঁজ পাইনি।
এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলিনার সঙ্গে থাকা বোন, বোনের স্বামীসহ সবাই দগ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে সবাই ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে এ ঘটনার পর থেকে এলিনা ইয়াসমিনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। একই সঙ্গে এ ঘটনার পর সৌমি ও আবু তালহার কোনো খোঁজ পাচ্ছে না তার পরিবার।
রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বলেন, ‘বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে রাজবাড়ী জেলার জন্য আসন বরাদ্দ থাকে মোট ৫৫টি। কিন্তু গতকাল শুক্রবার রাজবাড়ী থেকে আনুমানিক ৬৫ জন যাত্রী বেনাপোল এক্সপ্রেসে ঢাকার উদ্দেশে যায়।’