মিরর স্পোর্টস : খোদ ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ শচীন টেন্ডুলকারেরও যেন বিশ্বাস হচ্ছে না! ম্যাচ শেষে বলেই ফেললেন আগে ব্যাট করলে কে জানে তিনশো হয়ে যেত কি না! অবশ্য সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দুই ওপেনার যেভাবে তাণ্ডব চালালেন তাতে এমন ধারণা অমূলক বলা যায় না।
১৬৬ রানোর টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে স্রেফ ৫৮ বলেই (৯.৪ ওভার) লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে হায়দরাবাদ। উইকেটের পতন হয়নি একটিও। ট্রাভিস হেড অপরাজিত ছিলেন ৩০ বলে ৮৯ রানে। ৮টি ছক্কা ও সমান সংখ্যক চার হাঁকিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা ৮ চার ও ৬ ছক্কার মারে ২৮ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে-তেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় লখনৌ। কুইন্টন ডিকক (২) এবং মার্কাস স্টয়নিস (৩) অল্প রানে আউট হয়ে যান। লোকেশ রাহুল এবং ক্রুণাল পান্ডিয়া একসঙ্গে ৫ ওভার ক্রিজে থাকলেও বড় শট খেলতে পারেননি। রাহুল ৩৩ বলে ২৯ রান করেন। ক্রুণাল ২১ বলে ২৪ রান করেন। স্কোরবোর্ডে ৬৬ রান যোগ করতেই ৪ উইকেট চলে গিয়েছিল তাদের।
হায়দরাবাদে পিচে বড় রান হচ্ছিল। কিন্তু বুধবার সেটা হল না। পিচ থেকে বোলারেরা যথেষ্ট সাহায্য পাচ্ছেন। ভুবনেশ্বর কুমার ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ ২ ওভারে ৯ রান দেন। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন।
লখনৌ যে পিচে খাবি খাচ্ছিল, হায়দরাবাদ ব্যাটিংয়ো নামতেই ভিন্ন চিত্র। লখনৌয়ের ২০ ওভারের রান হায়দরাবাদ ৯.৪ ওভারেই তুলে ফেলে। ১৬ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন হেড। অভিষেক খরচ করলেন ১৯ বল।
অভিষেকরা যখন ম্যাচ শেষ করেন, তখনো ৬২ বল বাকি। অর্থাৎ হায়দরাবাদের অর্ধেক ইনিংস বাকি। এত তাড়াতাড়ি যে ম্যাচ শেষ হওয়া সম্ভব তা ভাবতেই পারেননি রাহুলেরা। ম্যাচ শেষেও তাই লখনৌ অধিনায়কের গলায় অবিশ্বাস ছিল স্পষ্ট। এদিকে লখনৌয়ের হারে প্রথম দল হিসেবে কার্যত বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের।