মিরর স্পোর্টস : পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর দ্রুতই আরও ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এক সময় মনে হচ্ছিলো দেড়শোর আগেই গুটিয়ে যাবে টাইগাররা। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটিতে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২২৮ রানের টার্গেটে দিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সেন্ট কিটসের বাসেটেরের ওয়ার্নার পার্কে টস জিতে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক শাই হোপ। ব্যাট করতে নেমে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।
তবে দলীয় ২৬ রানে ৫ বলে ২ রান করে আউট হন সৌম্য। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসা লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান তানজিদ তামিম। তবে অপর প্রান্তে ধুঁকতে থাকেন লিটন।
দলীয় ৪১ রানে ১৯ বলে ৪ রান করে আউট হন লিটন। তার বিদায়ে পর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিে যান অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হন তিনি। এতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়া চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩৬ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ১০০ রানে ২৯ বলে ২৪ রান করে আউট হন আফিফ।
আফিফের বিদায়ের পর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। জাকের আলি ৩ ও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান রিশাদ হোসেন। এরপর তানজিম হাসান সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন মাহমুদউল্লাহ।
মাহমুদউল্লাহকে ভালো সঙ্গ দেন তানজিম সাকিব। ফিফটি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে রান বাড়তে থাকে বাংলাদেশের। ৯২ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে দলীয় ২০৭ রানে ৬২ বলে ৪৫ রান করে আউট হন তানজিদ সাকিব।
তানজিম সাকিবের পর পরই ৯২ বলে ৬২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ। শেষ ব্যাটার হিসেবে শরীফুল ইসলাম আউট হলে ৪৫ ওভার ৫ বলে ২২৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জায়ডেন সিয়েলস নেন ৪টি উইকেট।