মিরর স্পোর্টস : মিরপুর সুইমিং পুলে শনিবার শুরু হয়েছে সাইফ পাওয়ার টেক ৩৬তম জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার। প্রথম দিনে ফাতিহা মাহতাব মাইশা ও অ্যানি খাতুন রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন।
মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে টাইম কিপারের দায়িত্বে আছেন শামসুল ইসলাম। এই পুলেই তার সামনে ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন মাইশা। শামসুল সম্পর্কে তার নানা।
মাইশা যেমন নানার সামনে, তেমনই নানির সামনে একইভাবে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন আরেক সাঁতারু অ্যানি। তিনি সোনা জিতেছেন ১৮-২০ বছর ক্যাটাগরিতে। আর মাইশা জিতেছেন ১৩-১৪ বছর বালিকা ক্যাটাগরিতে। দুজনেই বিকেএসপির সাঁতারু।
মাইশার সোনা জেতার পর পাশে দাঁড়িয়ে শামসুল বলেছেন, ‘আমার কী যে ভালো লাগছে তা বলতে পারবো না। যেহেতু আমি সেরা সাঁতারু ছিলাম, যে কাজ অসমাপ্ত রেখেছি, সেটা নাতনি পুরো করবে। ও রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছে বলে গর্বে আমার বুক ভরে ওঠে। মাহফুজা খাতুন শিলার পর আর কেউ এসএ গেমসে সোনা জিততে পারেনি। আমি চাই মাইশা সেটা করে দেখাক।’
মুন্সিগঞ্জের সাঁতারু মাইশার টাইমিং ১:২০:০৬ সেকেন্ড। আগের রেকর্ড ছিল নাজমা খাতুনের, ১.২০:৭৭ সেকেন্ড।
নিজের টাইমিং নিয়ে সন্তুষ্ট মাইশা, ‘যেভাবে বিকেএসপির স্যারেরা প্র্যাকটিস করিয়েছেন তাতে আমি খুশি।’
অ্যানি ২:৫৪.৫৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছেন। পুরানো রেকর্ড মরিয়ম খাতুনের, ২:৫৪:৬১ সেকেন্ড ছিল টাইমিং।
অ্যানি উঠে এসেছেন সাঁতারু গড়ার খনি কুষ্টিয়ার আমলা থেকে। মা বেঁচে আছে অ্যানির। বাবা নেই। বিকেএসপি থেকে অংশ নিয়ে গত আসরে সেরা সাঁতারু হয়েছিলেন। ২০২২ সালে জেতেন ৯টি সোনা, ১টি রুপা ও ২টি ব্রোঞ্জ।
অ্যানি অংশ নেন ৩টি ইভেন্টে, সবগুলোতে জিতেছেন সোনা। এবারও সেরা সাঁতারু হতে চান, ‘এবারও ১৩টি ইভেন্টে সোনা জয়ের আশা করছি।’
অ্যানি যখন সুইমিংপুলে ঝড় তুলছিলেন তখন গ্যালারিতে বসে নাতনির সাঁতার উপভোগ করছিলেন নানি মলি। নাতনির কীর্তিতে খুশি তিনি, ‘আমাকে সাঁতারে এনেছেন নানি। অনেক আগে থেকেই তার ইচ্ছে ছিল এটা। আমার বয়স যখন ৮ বছর তখনই সাঁতারে আসি। এরপর বিকেএসপিতে সুযোগ পাই। আজ নানির সামনে সাঁতরাতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। আরও বেশি খুশি, আমি রেকর্ড গড়েছি বলে।’