মিরর স্পোর্টস : ক্রিকেটাররা সবসময় একটা কথা বলে থাকেন, ‘নির্দিষ্ট দিনে যারা সেরা পারফরম্যান্সটা দিতে পারবে তারাই শেষ হাসি হাসবে।’ এই সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে হলে থাকতে হয় চাপমুক্ত কিংবা নির্ভার। যুব বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের যুবারা চাপ মুক্ত আছেন বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন গুরু ওয়াসিম জাফর।
আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে উড়াল দেবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তার আগে দুপুরে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হয় আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন। স্যুট-বুটে কেতাদুরস্ত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান মাহফুজুর রাব্বির দল।
সদ্য এশিয়া চ্যাম্পিয়ন হওয়া এই দল বাড়িয়ে দিয়েছে প্রত্যাশা। দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বজয় করে আকবর আলীর দল। চার বছরের ব্যবধানে এই ভার এখন রাব্বিদের কাঁধে। সাবেক ভারতীয় ব্যাটার ওয়াসিম এই যুবাদের নিয়ে কাজ করছেন দুই বছর ধরে।
এই দল নিয়ে তার প্রত্যাশাও অনেক, ‘দারুণ আবহ দলটার মধ্যে। ছেলেরা অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের গড়ে তুলেছে। যে জায়গায় আমরা ওদের দেখতে চেয়েছি, সেটা হয়েছে।’
‘ওরা চাপ নিয়ে খেলুক তা চাইব না। ফল কেমন হবে তা নিয়ে যা ভাবুক। ওরা কিন্তু এভাবে খেলেই এশিয়া কাপ জিতেছে, বাংলাদেশে প্রথম কোন দল এই অর্জন করলো। আমাদের তাই ওদের ওপর আস্থা রাখতে হবে’ -আরও যোগ করেন ওয়াসিম।
যুব বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল শ্রীলঙ্কায়। উপমহাদেশের কন্ডিশন বলে বাংলাদেশও বড় স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট নিষিদ্ধ হওয়ায় বিশ্বকাপ চলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকায়। কিছুটা সমস্যা হলেও মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন ওয়াসিম।
‘ভেন্যু বদলে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছে এটা ঠিক। শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে উপমহাদেশের স্বাচ্ছন্দ্যটা পাওয়া যেত। কিন্তু হুট করে বদলে যাওয়ার সেটা কঠিন হবে। তবে সেটা সবার জন্যই প্রযোজ্য। আমি বিশ্বাস করি এই দলের সে সামর্থ্য আছে দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার, ভালো করার।’
১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে যুব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই আসর। বাংলাদেশ প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যাচ্ছে, যাতে কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিয়ে লড়তে পারে। বাকিটা বলে দেবে সময়।