মিরর স্পোর্টস : স্কোর: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩৭/৫ (১৯ ওভার), পাপুয়া নিউগিনি ১৩৬/৮
ফলাফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে জয়ী।
খানিকটা রোমাঞ্চ ছড়িয়েছিল। পাপুয়া নিউগিনির করা ১৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯৭ রানে ৫ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মনে হচ্ছিল শেষ দিকে চরম নাটকীয় কিছু হবে।
কিন্তু অভিজ্ঞতার খেল দেখিয়ে ম্যাচটা সহজেই জিতে নিয়েছে বিশ্বকাপের স্বাগতিকরা। ৫ উইকেটের প্রত্যাশিত জয়ে বিশ্বকাপ শুরু হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
৫ ব্যাটসম্যান ড্রেসিংরুমে ফেরার পর জয়ের কাজটা সহজ করে তোলেন রোস্টন চেজ। ২৭ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার। ৪ চার ও ২ ছক্কায় সাজান তার ইনিংস। তাকে ষষ্ঠ উইকেটে সঙ্গ দিয়ে ১৮ বলে ৪০ রানের জুটি গড়েন আন্দ্রে রাসেল। ৯ বলে ১৫ রান করে রাসেল অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
জয়ের খুব কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১৮তম ওভারে ১৮ রান তুলে জয়ের খুব কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২ ওভারে তাদের প্রয়োজন ১৩ রান।
পঞ্চম উইকেট হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শতরানের আগে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে কঠিন চাপে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শেরফেন রাদারফোর্ডকে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করিয়েছেন অফস্পিনার ভালা। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেল। শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য ৩১ রান প্রয়োজন স্বাগতিকদের।
জয়ের পথে ছুটছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
জয়ের জন্য শেষ ৩০ বলে ৪৩ রান প্রয়োজন ওয়েস্ট ইন্ডিজের। হাতে আছে ৬ উইকেট। কাজটা তাদের জন্য খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা না।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন দলটির অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। মিডিয়াম পেসার সোপারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন রোভম্যান। ১৪ বলে ১৫ রানে থেমে যায় তার ইনিংস। ক্রিজে রস্টন চেজের সঙ্গী শেরফেন রাদারফোর্ড।
দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে চাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
নিকোলাস পুরানের পর ব্রেন্ডন কিংও ফিরলেন ড্রেসিংরুমে। থিতু হওয়া দুই ব্যাটসম্যান পরপর ড্রেসিংরুমে ফিরলেন। তাতে কিছুটা চাপে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৩ উইকেটে ৬৩। জয়ের জন্য শেষ ১০ ওভারে ৭৪ রান প্রয়োজন ক্যারিবিয়ানদের।
২৭ বলে ২৭ রান করে পুরান কারিকোর বলে ক্যাচ দেন লং অনে। ওপেনার কিং ভালার বল উড়াতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন। ২৯ বলে ৩৪ রান করেন কিং।
বৃষ্টির পর গায়ানায় কিং-পুরান ঝড়
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আসে বৃষ্টির বাধা। অবশ্য কোনোটিই ভোগাতে পারেনি স্বাগতিকদের। কিং-পুরান ঝড়ে শুরুটা দারুণ হয়েছে দলটির। পাওয়ার প্লে’তে তারা তোলেন ৫২ রান। কিং ২৯ ও পুরান ২২ রানে ব্যাট করছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ-নিউগিনির ম্যাচে বৃষ্টির হানা
পাপুয়া নিউগিনির ছুড়ে দেওয়া ১৩৬ রান তাড়া করতে নেমে ১.৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৮ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপরই অবশ্য বৃষ্টি হানা দেয়। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ বন্ধ রয়েছে।
বাউয়ের পর দোরিগার ক্যামিওতে পাপুয়া নিউগিনির ১৩৬
বাউয়ের ফিফটির পর শেষ দিকে দারুণ ক্যামিও ইনিংস খেলেন দোরিগা। দুজনের ব্যাটে ভর করে ৮ উইকেটে ১৩৬ রান করে পাপুয়া নিউগিনি। ১৮ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন দোরিগা। সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন বাউ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন রাসেল-জোসেফ।
বাউয়ের ফিফটির পর রাসেলের অন্যরকম ফিফটি
ধস সামলে একাই হাল ধরেন দলের। অপরপ্রান্তে উইকেটের মিছিলে বাউ ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ৪২ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ব্যাটার। এটি তার চতুর্থ ফিফটি। ফিফটির পরের বলেই আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। বাউয়ের ফিফটির পর রাসেলও অন্যরকম ফিফটির দেখা পান। আমিনিকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
বাউইয়ের ব্যাটে চোখ রাঙাচ্ছে পাপুয়া নিউগিনি
১২ ওভার শেষে পাপুয়া নিউগিনির রান ছিল ৪ উইকেটে ৬৭। পাওয়ার প্লে’র ধাক্কা সামলে ধীরগতিতে এগোতে থাকে দলটি। ১৩তম ওভারে মোতিকে দুই চার এক ছয়ে ১৪ রান নিয়ে ঝড়ের আভাস দেন বাউ। ধাক্কা সামলে বাউয়ের ব্যাটে চ্যালেঞ্জিং স্কোরের দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে দলটি। ১৫.১ ওভার শেষে দলটির রান ৫ উইকেটে ৯৫। বাউ ৫০ ও কিপলিন ০ রানে অপরাজিত আছেন।
তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আমিনি ১ হাজারি ক্লাবে
আলঝারি জোসেফের বলে সিঙ্গেল নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১ হাজার রান স্পর্শ করেন চার্লস আমিনি। পাপুয়া নিউগিনির তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ১ হাজার রানের ক্লাবে নাম লেখান তিনি। ৪৯ ইনিংস খেলে এই রান করেন আমিনি। সর্বোচ্চ ১৬২০ রান টনি উরার। কীর্তিতে নাম লেখালেও ১২ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
পাওয়ার প্লেতে কৃপণ ক্যারিবিয়ানরা, ধুঁকছে পাপুয়া নিউগিনি
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ধুঁকছে পাপুয়া নিউগিনি। প্রথম চারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় চতুর্থ ওভার পর্যন্ত। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে দুই চারে ঝড়ের আভাস দিলেও শেষ বলে আউট হয়ে উল্টো বিপদ বাড়ান অধিনায়ক ভালা।
পাওয়ার প্লে’র শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে দলটির রান ৩৪। ক্রিজের বাউয়ের সঙ্গী হিরিহিরি। দ্বিতীয় ওভারে ২ রানে উরাকে ফেরান শেফার্ড। পরের ওভারে আকিলের ঘূর্ণিতে বোল্ড হন সাইকা। এরপর ভালা-উরা এগোনোর চেষ্টা করেন, কিন্তু ভালার আউটে প্রতিরোধে ছেদ পড়ে।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হচ্ছে। ঘরের মাঠে দলটির প্রথম প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনি। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় খেলাটি শুরু হবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ
জনসন চার্লস, ব্রেন্ডন কিং, নিকোলাস পুরান, রস্টন চেজ, রভম্যান পাওয়েল, শেরফেন রাদারফোর্ড, রোমারিও শেফার্ড, আন্দ্রে রাসেল, আকিল হোসেন, আলঝারি জোসেপ ও গুদাকেশ মোতি।
পাপুয়া নিউগিনি
টনি উরা, আসাদ ভালা, সেসে বাউ, হিরি হিরি, চার্লস আমিনি, কিপলিং ডোরিগা, আলেই নাও, চাঁদ সোপার, কাবুয়া মোরিয়া ও জন কারিকো
রেকর্ডের খাতায় পুরান-রাসেল
চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ছয় হাঁকিয়েছেন নিকোলাস পুরান। রান করেছেন ৯৯৩টি, যা পঞ্চম সর্বোচ্চ। অন্যদিকে আন্দ্রে রাসেল ব্যাটিং করেছেন ২০৭.৮৯ স্ট্রাইক রেটে। এমন বিস্ফোরক ব্যাটিং আর কোনো ব্যাটার করতে পারেনি।
সোনালি দিনের অপেক্ষা
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সবশেষ বিশ্বকাপ জেতে ২০১৬ সালে। প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় ২০১২ সালে। তবে দলটির সময় ভালো যাচ্ছে না। সবশেষ দুই বিশ্বকাপে ছিল বাজে পারফরম্যান্স। ২০২১ সালে সুপার টুয়েলভে একটি মাত্র ম্যাচ জেতে, আর ২০২২ সালের বিশ্বকাপের মূলপর্বেই যেতে পারেনি। হেরেছে স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। এবার বিশ্বকাপ শুরুর আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। এখন শুধু নিজেদের মাঠে দারুণ শুরুর অপেক্ষায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাওয়া বিশ্বকাপ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল বলেন, ‘আমি খুবই উত্তেজিত, আমাদের দলও রোমাঞ্চিত ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য। আমরা এটার দিকে তাকিয়ে আছি। আশা করি আমরা এটা করতে পারবো।’