মিরর স্পোর্টস : মাত্র ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারানো চিটাগং কিংসের জন্য ১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জেতা ছিল কঠিন। শেষ ১৮ বলে প্রয়োজন ছিল ৪৮ রান। উইকেটে ছিলেন শামীম হোসেন, কিন্তু তাকে সঙ্গ দেওয়ার মতো বিশেষজ্ঞ ব্যাটার ছিল না। চিটাগংয়ের সমর্থকরা তখনও আশা করছিলেন শামীম কিছু করে দেখাবেন।
তবে তাদের সেই স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দেন রংপুরের ইফতিখার আহমেদ। ডানহাতি স্পিনারের লো ফুলটসে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শামীম। ৩৮ রানে তার বিদায়ের সঙ্গে চিটাগংয়ের জয়ের আশাও শেষ হয়। নির্ধারিত ওভারে চিটাগং থামে ১৩১ রানে, ৩৩ রানে জয় পায় রংপুর।
টানা আট ম্যাচ জিতে রংপুরই প্রথম দল হিসেবে বিপিএলের চলতি আসরের প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে।
১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় চিটাগংয়ের শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। ইনিংসের প্রথম বলেই রাকিবুল হাসানের স্পিনে সুইপ করতে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যানের হাতে ধরা পড়েন উসমান খান। গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন পাকিস্তানের ওপেনার।
তবে পারভেজ হোসেন ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক দ্রুত রান তুলে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আকিফের প্রথম ওভারে ছক্কা-চারের পর শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ১৪ বলে ২৬ রান করে আউট হন ইমন।
এরপর আকিফের ঝড়ে পড়ে যায় চিটাগং। তার পরপর দুটি ওভারে ফেরেন মিঠুন (বোল্ড) ও ক্লার্ক (হুক করতে গিয়ে ক্যাচ)। মাত্র ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা।
সেখান থেকে শামীম হোসেন ও নাঈম ইসলামের ৫৩ রানের জুটি চিটাগংকে লড়াইয়ে রাখার চেষ্টা করে। নাঈম দেখে-শুনে খেললেও শামীম ছিলেন আগ্রাসী। তবে নাঈম ২৪ বলে ১৯ রানে লেগ বিফোর হয়ে ফিরলে জুটি ভাঙে।
পরে শামীম কিছুটা লড়াই চালালেও ইফতিখারের বলে ক্যাচ দিয়ে তার ৩৮ রানের ইনিংসের ইতি ঘটে। ফলে ৩৩ রানে হেরে যায় চিটাগং।
রংপুরের হয়ে আকিফ জাভেদ ৩২ রানে নেন ৪ উইকেট। তাকে সঙ্গ দেন রাকিবুল ও ইফতিখার।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুরের শুরুটাও ভালো হয়নি। তৌফিক খান ও স্টিভেন টেলরকে আটকে রাখে চিটাগংয়ের বোলাররা। ৫ রানে তৌফিক ও ১৭ রানে সাইফ হাসান ফিরে গেলে চাপে পড়ে রংপুর।
তবে খুশদিল শাহের ২৮ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংস দলকে ১৬৪ রানে নিয়ে যায়। তিন ছক্কা ও চারটি চারে সাজানো ইনিংসটি শেষ হয় ওয়াসিমের বলে ক্যাচ দিয়ে।
শেষ দিকে শেখ মেহেদীর ১৭ রান রংপুরকে আরও কিছুটা এগিয়ে দেয়। চিটাগংয়ের হয়ে আলিস আল ইসলাম ও ওয়াসিম দুটি করে উইকেট নেন।
এ জয়ের মাধ্যমে রংপুর টানা আট ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে বিপিএলের চলতি আসরের প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে, ব্যাটিং ব্যর্থতায় চিটাগং কিংসের টুর্নামেন্টে টিকে থাকা আরও কঠিন হয়ে গেল।