মিরর স্পোর্টস : কয়েকদিন আগে খবর আসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উগান্ডার এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই ক্রিকেটার আইসিসিকে জানালে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এখানে শেষ হতে পারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিক্সিংয়ের অধ্যায়। এবার পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বাবর আজমের বিরুদ্ধে স্পট এবং ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দেশটির গণমাধ্যম। এরপর নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ফিক্সিংয়ের অভিযোগ করা ব্যক্তিদের প্রমাণ নিয়ে আসতে বলেছে সংস্থাটি।
বোর্ড আরও বলেছে, প্রমাণ ছাড়াই কোনো অভিযোগ করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও এটি পিসিবির আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি নয়।
পিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে দেশটির ক্রিকেটবিষয়ক গণমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান। যদিও সূত্রটি নিশ্চিত করেছে পিসিবি, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো নেতিবাচক মন্তব্য সম্পর্কে অবগত রয়েছে। অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করা হয়েছে।
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে বাবর আজমের দল। এরপরই স্পট এবং ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়কের বিরুদ্ধে।
পাকিস্তানের গণমাধ্যমে পিসিবির সূত্রটি বলেছে, ‘এই নেতিবাচক মন্তব্য সম্পর্কে আমরা পুরোপুরি সচেতন। খেলার সীমার মধ্যে সমালোচনা গ্রহণযোগ্য এবং এতে কোনও আপত্তি নেই। তবে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো ভিত্তিহীন অভিযোগ কোনও পরিস্থিতিতেই সহ্য করা যায় না।’
বোর্ড এমন অভিযোগের তদন্ত করবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সূত্রটি জানায়, ‘বোর্ডের কোনও সন্দেহ নেই, তাহলে কেন আমাদের তদন্ত করা উচিত? যারা অভিযোগ করেছেন, তাদের প্রমাণ দিতে হবে। আমরা আমাদের আইনি বিভাগকে এই ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করে প্রমাণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। যদি তারা প্রমাণ দিতে না পারে, তাহলে আমরা মানহানির মামলা করে ক্ষতিপূরণ চাইব।’
গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পর থেকেই বাবর-রিজওয়ানদের মুণ্ডুপাত চলছে। সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে, পিসিবির কর্তা এবং সাধারণ মানুষ ব্যাপক সমালোচনা করছেন ক্রিকেটারদের। এর মধ্যে উঠেছে স্পট এবং ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ।
পাকিস্তানের প্রবীণ সাংবাদিক মুবাশির লোকমান বাবরের বিরুদ্ধে গুরুতর এই অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। পাকিস্তানের অধিনায়ককে ব্যয়বহুল গাড়ি উপহার দেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুবাশির।
গত বছরের শেষের দিকে বাবরের বড় ভাই তাকে একটি অডি ই-ট্রন জিটি নামের দামি গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের গাড়িটির আনুমানিক মূল্য ২ কোটি টাকার বেশি। পাকিস্তানের এই গাড়ির মূল্য প্রায় দ্বিগুণ।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ওই সাংবাদিক জানান, ‘বাবর আজম নতুন ই-ট্রন পেয়েছেন। তিনি বলেছেন তার ভাই এটি উপহার দিয়েছিলেন। আমি ভাবছিলাম তার ভাই কী করে, যে সে ৭-৮ কোটি টাকার গাড়ি উপহার দিচ্ছে। আমি জানতে পেরেছি যে সে কিছুই করে না। তখন কেউ একজন আমাকে বলেছিল আপনি যদি ছোট দলের কাছে হেরে যান, প্লট, গাড়ি আপনি পাবেন না, তাহলে কে পাবে? আমি ওই ব্যক্তিকে বলেছিলাম যে, এগুলো গুরুতর অভিযোগ। তিনি আমাকে বলেছিলেন সবাই জানে কে কী করছে।’
ভিডিওটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকের দাবি পাকিস্তান দলকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।