মিরর ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র চায় না লেবাননে অবস্থানরত শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ইসরায়েলি হামলার শিকার হোক। কারণ দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিতে শান্তিরক্ষী বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) এসব কথা বলেছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘ইউনিফিল ফোর্সকে আমরা কোনও রকম ঝুঁকিতে দেখতে চাই না। লেবাননের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দলটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন বাহিনী (দ্য ইউএন ইন্টেরিম ফোর্স ইন লেবানন বা ইউনিফিল) রবিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, লেবাননে তাদের কর্মস্থলের নিকটবর্তী এলাকায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ‘সাম্প্রতিক কার্যকলাপে’ তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
সাংবাদিকদের মিলার বলেছেন, লেবাননে ইসরায়েলের স্থল অভিযান মূল্যায়ন করছে মার্কিন প্রশাসন। যদিও দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনী অভিযানের পরিসর বড় করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবুও এখন পর্যন্ত তাদের উপস্থিতি সীমিত বলেই গণ্য করা যাচ্ছে।
নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেটে লেবাননের সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করার জন্যই ইউনিফিল ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র ও সশস্ত্র বাহিনীর উপস্থিতি মুক্ত রাখতে তারা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর কাছে দলটির চক্ষুশূলে পরিণত হওয়ার এটি অন্যতম কারণ।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। ‘ব্লু লাইন’ নামে পরিচিত ইসরায়েল ও লেবাননের সীমান্ত থেকে পাঁচ কিলোমিটারের অধিক দূরত্বে ‘নিজেদের নিরাপত্তার জন্য’ ‘যত দ্রুত সম্ভব’ সরে যাওয়ার জন্য তৈরি থাকতে বলেছে ইসরায়েল।