মিরর ডেস্ক : আগামী ১৪ জানুয়ারি ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মণিপুর থেকে ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু, শুরুর আগেই হোঁচট খেল এই যাত্রা। কংগ্রেস নেতার ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’র জন্য অনুমতি দেয়নি মণিপুর সরকার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আগামী ১৪ জানুয়ারি মণিপুর থেকে রাহুলের নেতৃত্বে ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’ শুরু করতে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং বরাবর অনুমতি চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু বীরেন সিং সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
মণিপুরের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং দলের বিধায়ক কেশাম মেগাচন্দ্র তার কংগ্রেস প্রতিনিধিদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকও করেন। কিন্তু রাজ্যের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা এবং পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী অনুমতি দিতে রাজি হননি।
এদিকে অনুমতি না দেওয়াকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করে মেগাচন্দ্র বলেছেন যে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত “জনগণের অধিকার লঙ্ঘন”।
অন্যদিকে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং জানিয়েছেন যে, ‘সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের জন্য আসাম রাইফেলস, বিএসএফ এবং রাজ্য পুলিশ যৌথভাবে ‘ম্যাস কম্বিং অপারেশন’ চালাচ্ছে।‘
সম্প্রতি ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে মণিপুর পুলিশ এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। এতে সীমান্ত শহর মোরেহেতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ বলছে, মণুপুরের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি।
রাহুল গান্ধী ‘ভারত জড়ো’ যাত্রার আদলে মণিপুর থেকে মুম্বাই পর্যন্ত ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ৬৬ দিনের দীর্ঘ এ পদযাত্রায় তিনি বাসে এবং পায়ে হেঁটে ৬,৭১৩ কিমি পায়ে হেঁটে অতিক্রম করেবেন। এর মধ্যে ১১০টি জেলা, ১০০টি লোকসভা আসন এবং ৩৩৭টি বিধানসভা কেন্দ্র অতিক্রম করবেন তিনি। তার এই ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’২০শে মার্চ মুম্বাইয়ে শেষ হবে।
এই লক্ষ্যে আগামী ১৪ জানুয়ারি ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য মণিপুর থেকে তাঁর এ যাত্রা শুরু করার কথা থাকলেও এরই মধ্যে মণিপুরে সহিংস ঘটনার কারণে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ল।