মিরর ডেস্ক : ভারতের গুজরাটে দাঙ্গার সময় বিলকিস বানুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত অপরাধীদের মুক্তি বাতিল করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, ধর্ষকদের দুই সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় কারাগারে ফিরতে হবে। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে এই রায় দিয়েছে আদালত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।
২০০২ সালের ৩ মার্চে মুসলিমবিরোধী দাঙ্গার সময় এই অপরাধীরা গুজরাটে বানু এবং তার পরিবারের ওপর হামলা করেছিল। তার পরিবারের ১৪ সদস্যকে খুন করেছিল এই আসামিরা। ওই সময় অন্তঃস্বত্ত্বা বানু সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। ২০২২ সালের আগস্টে সংঘবদ্ধধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করা ১১ আসামিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। তাদের মুক্তি ভারতসহ বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল।
বেঞ্চ বলেছে, ‘যে রাজ্যে অপরাধীকে সাজা দেওয়া হয় সেই রাজ্যের সরকারই ক্ষমা প্রদানের এখতিয়ার রাখে। যে রাজ্যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল সেই রাজ্যের সরকার নয়।’
বিচারপতি নাগারথনা বলেন, ‘ন্যায়বিচারের মধ্যে শুধু দোষীদের অধিকার নয়, ভুক্তভোগীদের অধিকারও অন্তর্ভুক্ত’ এবং আদালতের ‘প্রাথমিক কর্তব্য’ ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখা।
তিনি আরও বলেন, ‘পরিণতির কথা মাথায় না রেখে আইনের শাসনকে অবশ্যই ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে হবে।’
আদালতে কর্মকর্তারা বলেছিলেন, এসব পুরুষরা ২০০৮ সালে একটি নিম্ন আদালতে প্রথম দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। এরপর সাজার রায়ে ১৪ বছরেরও বেশি সময় কারাগারে কাটিয়েছে। পরে তাদের বয়স ও কারাগারে তাদের ভালো আচরণের মতো অন্যান্য বিষয়গুলো বিবেচনা করে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
রাজ্য সরকার বলেছে, দোষীদের মুক্তির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। অমিত শাহের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঞ্জুর করে তা।