এক সময়ের ক্রিকেট কিংবদন্তি থেকে বিশ্বনেতার কাতারে চলে যাওয়া পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার নির্বাচনী এলাকা ও পৈতৃক জন্মভূমি মিয়ানওয়ালিতে খুবই জনপ্রিয় হওয়া সত্বেও, সেখানকার রাস্তা-ঘাটে তার দলের পোস্টার ও পতাকাশোভিত রাজনৈতিক প্রচারণার নামগন্ধই খুঁজে পাওয়া দুস্কর। পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর নিরবচ্ছিন্ন দমন-পীড়নে তাকে ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’কে (পিটিআই) ভোটের আগেই নির্বাচনী প্রচারণা থেকে প্রায় মুছে ফেলা হয়েছে।
ইমরান খান, বর্তমানে কারাগারে থেকে কয়েক ডজন আইনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন। একটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে, আসন্ন ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে তাকে বিরত রাখা হয়েছে। তবে মামলাগুলোকে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।
মিনওয়ালিতে তার নেতার পরিবর্তে পিটিআই থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আহসান খান বলেছেন, তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি থেকেই প্রায় আত্মগোপন করে রয়েছেন, সভা করতে বা লিফলেট বিতরণ করতে পারেননি।
উল্লেখ্য, পাঞ্জাব প্রদেশের মিয়ানওয়ালিতে ইমরান খান তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন এবং তিনবার এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে নির্বাচনে দুর্নীতির অবসান ও বংশ পরম্পরায় দেশ শাসনের ব্যত্যয় ঘটানোর প্রতিশ্রুতি পিটিআই’র বিজয় এনে দেয় এবং তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদে উন্নীত করে।
মিয়ানওয়ালিতে তিনি একটি হাসপাতাল ও একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। স্থানীয় পত্রিকা নওয়া-ই-শারর বা ডেইলি স্পার্ক-এর প্রধান সম্পাদক রানা আমজাদ ইকবাল এএফপি’কে বলেন ৭১ বছর বয়সী খান ‘শুধু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, তিনি একজন নায়ক।’খবর এএফপি’র।