২৪শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Mirror Times BD

নেতানিয়াহু-হানিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন আইসিসিতে

মিরর ডেস্ক : গাজায় যুদ্ধাপরাধের উসকানি, পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, হামাসের প্রধান নির্বাহী ইসমাইল হানিয়াসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তানি পরোয়ানা জারির আবেদন জমা পড়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি)।

এই তালিকায় থাকা অন্যান্যরা হলেন হামাসের অপর দুই শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং মোহাম্মেদ আল মাসরি ওরফে দেইফ আল মাসরি এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত।

আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম আসাদ আহমেদ খানের (করিম খান) দপ্তর থেকে করা হয়েছে এই আবেদন। সোমবার এক বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে করিম খান বলেন, গত ৭ মাস ধরে গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তার জন্য নেতানিয়াহু-হানিয়াসহ এই ৫ জন মূলত দায়ী। গত ৭ মাসে গাজায় যত যুদ্ধাপরাধ হয়েছে, সেসবের জন্যও দায়ী এই ৫ জন। এদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদনের প্রধান কারণ এটিই।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের যে ১২৪টি রাষ্ট্র আইসিস নামের স্থায়ী বৈশ্বিক আদালতকে স্বীকৃতি দিয়েছে, সেই রাষ্ট্রগুলোর তালিকায় ইসরায়েলের নাম নেই। তেমনি নাম নেই যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়ারও। তাই ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া এবং আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়নি এমন সব দেশে নেতানিয়াহু, হানিয়া এবং বাকি তিন জনের কোনো ঝুঁকি নেই।

তাছাড়া আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও তা বাস্তবায়নের জন্য শক্তিপ্রয়োগের ক্ষমতা আদালতটির নেই। তবে মূল সমস্যা হলো, একবার যদি আইসিসি পরোয়ানা জারি করে— তাহলে তা প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত এই আদালতকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোতে সফর করা ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ হবে নেতানিয়াহু, হানিয়া এবং তালিকার অপর তিন জনের জন্য। কারণ সেক্ষেত্রে সেসব দেশের সরকার চাইলেই আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে আমলে নিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করতে পারে। প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের অধিকাংশ দেশ আইসিসিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামাস এবং তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামি জিহাদের ১ হাজারের বেশি সশস্ত্র সেনা। ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যো করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।

অতর্কিত সেই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। চলমান সেই অভিযানে গত ৭ মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৯ হাজার। হতাহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

আইসিসিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদনের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য বেনি গান্টজ রয়টার্সকে বলেন, ‘একটি রক্তপিপাসু সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর (হামাস) সঙ্গে আমাদের এক করে দেখা হয়েছে। আমরা আইসিসির এ অবস্থান প্রত্যাখ্যান করছি।’

অন্যদিকে হামাসের মুখপাত্র আবু জুহরি এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, ‘হত্যাকারী এবং হত্যার শিকার কখনও সমান অপরাধী হতে পারে না; কিন্তু আইসিসি সেভাবেই বিষয়টি দেখছে।’

⠀শেয়ার করুন

loader-image
Dinājpur, BD
এপ্রি ২৪, ২০২৫
temperature icon 29°C
clear sky
Humidity 14 %
Pressure 1001 mb
Wind 4 mph
Wind Gust Wind Gust: 4 mph
Clouds Clouds: 0%
Visibility Visibility: 10 km
Sunrise Sunrise: 05:35
Sunset Sunset: 18:31

⠀আরও দেখুন

Scroll to Top