মিরর ডেস্ক : দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জনগণকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে কোনো একটিকে বেছে নিতে বলা হলে তারা পরেরটিকেই বেছে নেবে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক আইএসইএএস-ইউসুফ ইসহাক ইনস্টিটিউটের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত ‘স্টেট অব সাউথইস্ট এশিয়া ২০২৪’ নামের ওই জরিপে ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে, তারা চীনের পক্ষে থাকবে। যা গত বছরের জরিপের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি।
গত বছর ৬১ দশমিক ১ শতাংশ উত্তরদাতা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। চীনকে ভোট দিয়েছিল মাত্র ৩৮ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা।
তবে চীনের প্রভাব স্বীকার করলেও উত্তরদাতারা বেইজিংয়ের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে। ৬৭ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রভাবকে ভয় পাচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভিয়েতনামের মানুষ। দেশটিতে উত্তরদাতাদের ৮৭ দশমিক ৭ শতাংশ, তারপরে মিয়ানমারে ৮৭ দশমিক ৬ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৮০ দশমিক ৩ শতাংশ ও ফিলিপাইনে ৭ দশকি ৮ শতাংশ চীন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
চীন এই অঞ্চলের দেশগুলোকে বাধ্য করার জন্য তার অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে পারে বলে উত্তরদাতাদের অর্ধেকেরও বেশি আশঙ্কা করেছে। অন্যদিকে আরও ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা চীনকে বিশ্বাস করে না।
জরিপের তথ্যমতে, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আঞ্চলিক শক্তি। উত্তরদাতাদের যথাক্রমে ৫৮ দশমিক ৫ শতাংশ, ৪২ দশমিক ৪ শতাংশ ও ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ এমনটি বিশ্বাস করে।
উত্তরদাতাদের ৫৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেকারত্ব ও মন্দার সম্ভাবনাকে এই অঞ্চলের জন্য শীর্ষ উদ্বেগের বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
গাজার যুদ্ধ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে উত্তরদাতাদের কাছে। এই সংঘাত ধর্মীয় চরমপন্থাকে উৎসাহিত করতে পারে বলে ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ উত্তরদাতা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ বলেছে, এটি আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়মভিত্তিক শৃঙ্খলাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
সূত্র : আলজাজিরা