মিরর ডেস্ক : উত্তর-পূর্ব চীনের জিলিন প্রদেশের একটি পাবলিক পার্কে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন ৪ মার্কিন নাগরিক। স্থানীয় একটি মন্দির পরিদর্শনের সময় এক ব্যক্তি ছুরি নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় বলে জানিয়েছে মার্কিন কর্মকর্তারা। হামলার শিকার চারজনই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষক।
সোমবার (১০ জুন) এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা বিবিসি। বিবিসি আরও জানিয়েছে, আহত অবস্থায় তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের কারোরই অবস্থা গুরুতর নয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এএফপি জানিয়েছে, হামলার শিকার চারজনই আমেরিকান আইওয়া কর্নেল কলেজের প্রশিক্ষক। চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কিন অংশীদারত্বের অংশ হিসেবে কাজ করছিলেন তারা। এই ঘটনা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
আইওয়ার প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য অ্যাডাম জাবনার রয়টার্সকে বলেন, আহত চার প্রশিক্ষকের মধ্যে তার ভাই রয়েছেন। তিনি বলেন, আমার ভাই ডেভিড জাবনার জিলিন শহরে একটি মন্দির পরিদর্শনের সময় ছুরি হামলায় হাতে জখম হয়েছেন।
অ্যাডাম জাবনার আরও জানান, ওই প্রশিক্ষকরা বেইশান পার্কে একটি মন্দির পরিদর্শন করছিলেন। তখন এক ব্যক্তি ছুরি নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। হামলার কারণ জানা যায়নি।
ওই ঘটনায় গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তাতে রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজনকে পার্কে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এ ছবিতে ঘটনাস্থল চিহ্নিত করা যায়নি। পরে স্থানটি শনাক্ত করতে পেরেছে রয়টার্স। অবশ্য ভিডিওটি কখন ধারণ করা হয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ঘটনা নিয়ে চীনের কর্তৃপক্ষের কোনো বিবৃতি বা দেশটির গণমাধ্যমে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি।
এদিকে কলেজের মুখপাত্র জ্যঁ ভিসার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, চীনে ছুরিকাঘাতের ওই ঘটনা সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর অবগত রয়েছে এবং পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে তারা।
উল্লেখ্য, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আগামী ৫ বছরে বছরে ৫০ হাজার তরুণ আমেরিকানকে শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় চীনে আমন্ত্রণ জানানোর একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। অবশ্য দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক টানাপড়েনের জের ধরে চীন ভ্রমণে নিজেদের নাগরিকদের নিরুৎসাহিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
মার্কিন তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ২ লাখ ৯০ হাজার চীনা শিক্ষার্থী রয়েছে। সেই তুলনায় চীনে বর্তমানে ৯০০ এর কম আমেরিকান শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।