ঢাকা : একটি চক্র ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে দৈনিক ১০ থেকে ৪০ ডলার আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রিমিয়াম সফটওয়্যার দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। চক্রের ৬ সদস্যকে রাজধানীর উত্তরা থেকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ছয়টি এসএসডি কার্ড, চারটি হার্ডডিস্ক, চারটি ট্যাব ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো শামীম আহম্মেদ (৩২), জাহিদুল ইসলাম (২৪), মাহিদুল হক ওরফে মাহাদী (৩০), মো. আশরাফুল ইসলাম (২৬), এহসান মাশফী (২৪) ও রনি সরদার (২৮)।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, সিপিএ মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন প্রিমিয়াম রাশিয়ান সফটওয়্যার টুলস প্লাগইন করার কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২,৫০০ টাকা করে চাওয়া হয় এবং এই টাকা পরিশোধ করলে তাদের ক্লাসে এনরোল করা হবে বলে জানানো হয়। আগ্রহী প্রশিক্ষণার্থীরা বিকাশে ২ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করলে তাদের সিপিএ মার্কেটিংয়ের ওপর দায়সারাভাবে কিছু রেকর্ডেড ও কিছু লাইভ ক্লাস করানো হয়। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরও তারা প্রিমিয়াম টুলস আর দেয় না। এর মাধ্যমেও তারা হাতিয়ে নিয়েছে কোটি টাকা।
ভুক্তভোগীরা জানায়, কোর্স সমাপ্ত হওয়ার পর সিপিএ মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে তাদের সাহায্য করার কথা থাকলেও আপস্পট অ্যাকাডেমি থেকে পরবর্তী সময়ে তারা কোনও ধরনের সেবা পান না। এসব বিষয়ে ভুক্তভোগীরা মেসেজ বা হটলাইনে আপস্পট অ্যাকাডেমির সাথে যোগাযোগ করেও কোনও ধরনের সাড়া পায় না। অনেক ক্ষেত্রে তাদের ব্লক করে দেওয়া হয়। পরে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এটিইউ তদন্ত শুরু করে এবং এই চক্রের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।